রাহুকেতু : মলয় রায়চৌধুরীর উপন্যাস
কলকাতার উত্তর-শহরতলিতে, রামায়ণ নট্ট কোম্পানির অধিকারী অসীম গাঙ্গুলি মশায়ের ওঝাপুর বাড়ির নড়বড়ে কাঠের গেটের ভেতরে ঢুকে, সে-ই শেষবার, রাহুলের, তখন কত বয়স হবে, মমমমমমমমম, থাকগে, যা-ই হোক, কী-ই বা এসে যায়, মনে পড়ে গেল, কানপুরের অশোক নগর থানায় হাজতবাসের কথা । উত্তরবঙ্গের কোনো জোতদারের বাগানমহল ভেঙে তৈরি হয়েছিল অসীমবাবুর ওঝাপুরের সেই ভাড়া-করা ছয়-ফ্ল্যাটের কোঠাবাড়ি । হাজতের অন্ধকারে, রাতের মশাগুঞ্জনের বহুভাষি ঝাঁকের খেয়ালি ঘুর্ণির ভেতর দিয়ে মেঝেয় ছিটকে পড়ল, রাহুলের হাঁটুতে ধাক্কা খেয়ে, একজন মানুষ, যে, গন্ধ থেকে যেটুকু আঁচ করা গেল, কানপুরি-ঠররার নেশায় বস্তাপ্রতিম কেউ হাড়গিলে । ঘরের মধ্যে আগে থাকতে কতজন যে রয়েছে তা জানতে পারছে না রাহুল ; কেবল বুঝতে পারছে যে বেশ কয়েকজন মানুষ, যারা পুলিশ আইনপ্রণেতা আর যে বা যারা তাদের আইনের প্যাঁচে পাকিয়ে হাজতে ঢুকিয়ে দিয়েছে, তাদের সবাইকে হিন্দির বহুপ্রচলিত খিস্তিগুলো বিড়বিড়িয়ে চলেছে, একনাগাড়ে, সেই যখন থেকে রাহুলকে পোরা হয়েছে এই অচেনা...